আখ রোপণের পদ্ধতি
আখ বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। চিনি উৎপাদনের প্রধান উপাদান এই আখ। বছরের তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আখ রোপণ করা যায়। তাই আখ রোপণের আগে মাটি নির্বাচন করতে হয়। এছাড়া রোপণের সময় ও পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।
মাটি
এঁটেল, দোআঁশ ও এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে আখ ভালো জন্মে। তবে পানি নিকাশের ব্যবস্থাযুক্ত এঁটেল-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি; যেখানে পানি জমে থাকে না— এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।
রোপণের সময়
জানুয়ারি মাস ছাড়া বাংলাদেশে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। তবে চারা রোপণের সর্বোত্তম সময় মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর। ৩০-৩৫ হাজার কাটিং বা সেট/হেক্টর বীজ প্রয়োজন হয়।
রোপণ পদ্ধতি
সমতলী পদ্ধতি
নালা তৈরি করে নালায় ৫-৬ ইঞ্চি গভীরে রোপণ করা হয়।
ভাওড় পদ্ধতি
সমতলি পদ্ধতির চেয়ে কিছুটা গভীর নালা তৈরি করে ৮-১০ ইঞ্চি গভীরে রোপণ করা হয়।
পরিখা বা নালা
এ পদ্ধতিতে খননকৃত নালায় একটি কেন্দ্র থেকে অন্যটির কেন্দ্রের দূরত্ব ১০০-১২০ সেন্টিমিটার। নালায় গভীরতা ৩০ সেন্টিমিটার। উপরের প্রস্থ ৩০ সেন্টিমিটার এবং নিচের প্রস্থ ২৫ সেন্টিমিটার। নালার নিচের দিকে ৫-৭ ইঞ্চি গভীরতায় বীজ আখ রোপণ করা হয় এবং উপরের মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
রোপা পদ্ধতি
রোপা পদ্ধতিতে এক চোখ বিশিষ্ট আখ খণ্ড পলিথিন ব্যাগে কিংবা দুই চোখ বিশিষ্ট আখ খণ্ড বীজতলায় রোপণ করে চারা করে সেই চারা মূল জমিতে রোপণ করা হয়।
ফসল সংগ্রহ
আখ পরিপক্ব হতে সাধারণত ১২-১৫ মাস সময় লাগে। অঞ্চলভেদে চিনি বা গুড় উৎপাদন করতে আখ সংগ্রহ করা হয়।
younus / younus