তরমুজচাষী সোহেল রানা বলেন, ‘ইউটিউবে তরমুজ চাষ দেখে আগ্রহ সৃষ্টি হয় আমার। এছাড়া আমার এক আত্মীয় তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে তিনবারে ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। এসব দেখে তরমুজ চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এবারই প্রথম বাড়ির পাশে পৌনে দুই বিঘা জমিতে মাচাং পদ্ধতিতে হলুদ, কালো ও সবুজ বর্ণের তরমুজ চাষ করেছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তরমুজগুলো বাজারজাত শুরু করতে পারবে। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে ফলন ভালো পাব।’
তিনি বলেন, ‘পৌনে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে এখন পর্যন্ত ১ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। গাছে যে হারে তরমুজ ধরেছে তাতে সব মিলিয়ে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি। বর্তমানে হলুদ ও সবুজ বর্ণের তরমুজ ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কালো বর্ণের তরমুজ ৫০ টাকা কেজি। এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করে লাভ হয় ৫-৭ হাজার টাকা। সেখানে এক বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে লাখ টাকার ওপর লাভ। ধানের চেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে বড় পরিসরে তরমুজ চাষাবাদের ইচ্ছা রয়েছে।’
এদিকে সোহেল রানার চাষাবাদ দেখে অনেকেই আসছেন পরামর্শ নিতে। কেউ কেউ অল্প পরিসরে শুরু করেছেন তরমুজ চাষ। আগামীতে এ অঞ্চলে আরো বড় পরিসরে তরমুজ চাষাবাদ হবে বলে জানান স্থানীয় কয়েকজন কৃষক।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, ‘হিলিতে প্রথমবারের মতো মাচাংয়ে তরমুজ চাষ হয়েছে। কৃষকের মাঝে তরমুজের যে জাতগুলো দিয়েছি, সেগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করবে। বেলে মাটিতে তরমুজ চাষ হয়। হিলির মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। অসময়ে এটি চাষ করা যায় এবং দাম ভালো পাওয়ায় বেশ লাভজনক। তরমুজ চাষ বাড়াতে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’