ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

রাজধানীর ১৩ স্থানে

সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭-১১-২০২৪ দুপুর ১১:৬

 

আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান একথা জানান।

এসময় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপপরিচালক (কার্যক্রম) আতিয়া সুলতানা এবং উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার উপবিভাগ) আফরোজা রহমান উপস্থিত ছিলেন।

মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট), এজেন্ট-ডিলার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিম সরবরাহ করার সিদ্ধান্তসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

এসময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তেজগাঁও বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) স্থানসমূহে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউ মার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনির আখড়া ও চিটাগাংরোডসহ মোট ১৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরাসরি উৎপাদক থেকে এজেন্ট বা ডিলারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবে দুই সিটি কর্পোরেশন।

এর মধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ৬.৫ লাখ করে মোট ১৩ লাখ, এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বন্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্ধারিত ১৩টি বাজারে ডিম সরবরাহের লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিংসহ লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদেরকে মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’

এ ছাড়াও চাহিদা কম থাকাকালীন সময়ে ডিম সংরক্ষণের বিষয়ে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি ডিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুতই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের মোট ডিমের চাহিদা প্রতিদিনে ৪.৫ কোটির কিছু বেশি, বর্তমানে যার মধ্যে কিছু পরিমাণ আমাদের আমদানি করতে হয়।

সরবরাহকারীরা আমাদের প্রথম বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে প্রতিকূল আবহাওয়া ও আকস্মিক দুর্যোগ না থাকলে অভ্যন্তরীণভাবে চাহিদা মেটানো সম্ভব।’

younus / younus