সুপারশপগুলো এরই মধ্যে শপের বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাদের যে টিস্যু ব্যাগ, জালি ব্যাগ ছিল সেগুলো সরিয়ে নিয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পাটের তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। যার মূল্য ৬ থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত। কাস্টমারদের সেগুলো কিনে নিতে হবে।গত ৯ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের দেশের কোনো সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেন। পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার না করে পাট বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী-নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে প্লাস্টিক পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সব পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
এ ছাড়া তিনি বলেন, ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু হবে।
প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন এবং ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপই পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
এর আগে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর বিধান অনুসারে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০২ সালের ১ মার্চ সরকার বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সে সময় পরিবেশ অধিদপ্তর শর্তসাপেক্ষে সব রকমের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, মজুদ ও বিতরণ নিষিদ্ধ করে।
সূত্রঃ ফুড সেফটি মুভমেন্ট ডেস্ক