পাকিস্তানের অনুরোধে পণ্য ‘লাল তালিকামুক্ত’ ঘোষণা দিয়ে নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পণ্যের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে কায়িক পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা আর থাকল না।
সম্প্রতি এনবিআরের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্য অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড পদ্ধতির ‘লাল তালিকা’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। শুধু পাকিস্তানের পণ্য এই ‘রেড লেনে’ ছিল।
ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় দেশটির পণ্য ‘লাল তালিকা’ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আগত সব পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেকটিভ ক্রাইটেরিয়ায় শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হচ্ছে। ফলে লাল তালিকা থেকে অবমুক্তকরণে অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ডেপুটি কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে। তা ছাড়া কায়িক পরীক্ষায় উল্লেখযোগ্য কোনো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
আদেশে আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা সব ধরনের পণ্যের চালান ন্যাশনাল সিলেক্টিভিটি ক্রাইটেরিয়ার বাইরে থাকবে। তবে লোকাল ক্রাইটেরিয়ার আওতায় সময়ে সময়ে ঝুঁকি বিবেচনায় পণ্যভিত্তিক রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা চালু রাখতে বলা হয়েছে কাস্টমস হাউসগুলোকে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে পাকিস্তান থেকে আসা সব পণ্য লাল তালিকাভুক্ত করেছিল এনবিআর। ক্ষমতার পালাবদলের পর ফের দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ গত ১০ সেপ্টেম্বর অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করে স্তিমিত হয়ে পড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান। দেশটির অনুরোধে এবার পাকিস্তান থেকে আসা পণ্য ‘লাল তালিকামুক্ত’ করার পদক্ষেপ নিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।